মানুষের সৌন্দয্য জগতের প্রায় সবটাই প্রকৃতির অবদান। কি জাগতিক কি আত্মিক দুই ভাবে প্রকৃতির মহাদান মানব সভ্যতার ধারা কে অব্যাহত রেখে তাতে গতি ও শক্তির সঞ্চার করেছে। পৃথিবীর পৃষ্ঠের চাপও নানা ভাঙ্গা গড়া পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রকৃতি চলছে। এর মধ্যেই রত্ন পাথর ও খনিজ পদার্থের স্থান। অতি মূল্যবান বলে ব্যবহারিক গুরুত্ব প্রচুর পরিমানে বেড়েছে। মানুষ জীব জগত সম্পর্কে যতটা সচেতন কিন্তু রত্ন পাথরের গুনাগুন সম্পর্কে ততটা নয়।
তথ্যসুত্রঃ জ্যাতিষভাস্কর ডঃ জি কিবরিয়া
আসলে রত্ন পাথর কি?
রত্ন বলতে যে বস্তুকে আমরা চিনি সেটা মহামুল্যবান। পান্না, হিরা, প্রবাল, নীলা, পোখরাজ প্রভূতি প্রাকৃতিক উপাদান। অনেকেই স্বচ্ছতা ও সুন্দরকে রত্ন পাথরের গুনাগুন বলে বিবেচনা করেন। যদিও অনেক দামি রত্ন পাথর অল্প স্বচ্ছ হয়েও প্রাকিতিক গুণে অনন্যা। রত্ন পাথরের সোন্দর্য্য শুধু মাত্র দৃষ্টি নন্দন নয়, এর দ্রুতি বা উজ্জ্বলতা রত্ন পাথরের আপেক্ষিক গুরুত্ব ও কাঠিন্যের উপ্পর নির্ভরশীল। যেসব খনিজ থেকে রত্ন পাথর সংগ্রহ করা হয় সেটি উপাদানের বিশেষ গুনযুক্ত অজৈব রাসায়নিক পর্দাথ। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত ৩ হাজারের মত বিভিন্ন ধরনের খনিজ সন্ধান প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে অন্তত ১৪ শত বিভিন্ন নামে পরিচিত। খনিজের নিশ্চিত সনাক্তকরন ও বৈজ্ঞানিক শ্রেনী বিন্ন্যাশের ফলে এ পার্থক্য কমে আসছে। তাই জ্যোতিষীরা জন্ম সময়ে জাতক/জাতিকার রাশি ও গ্রহ নক্ষত্রের হিসাব নিকাশ করে বা কোন কোন ক্ষেত্রে হাতের রেখা পর্যালেচনা করে রত্ন পাথর ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। রত্ন পাথর কিভাবে মানবদেহে কাজ করে আমি তা লিখছি।
জ্যোতিষ শাস্ত্র (Astrology) প্রকৃত পক্ষে জ্যোর্তি বিজ্ঞান (Astronomy) থেকেই উৎপত্তি এবং তার ফলিত বা প্র্যা্কটিকাল অংশমাত্র। এখন কথা হলো, এ বিজ্ঞান কীভাবে বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন মানুষ এমনকি পশুপাখিদের জীবন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে চলছে। রত্ন পাথর কীভাবে মানব দেহে কাজ করে, আমি তা লিখছি। কীভাবে ছোট একটি রত্ন পাথর বিরাট গ্রহদের করতে পারে, তাও নিম্নরূপ। একটি তেজপূর্ণ পদার্থ অপর একটি পদার্থে নিজের তেজ সঞ্চারিত করে। গ্রহদের যেমন তেজ বিকিরণ ক্ষমতা আছে। ফলে রোগ ব্যাধি হয়। দূর্ভাগ্য নাশ করে। এখন কথা হলো, কোন রত্ন-পাথর ধারণ করবেন? রত্ম-পাথর ধারণ করার আগে সুশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ জ্যোতিষ কর্তৃক হস্তরেখা বিচার কিংবা কোষ্ঠি বিচার করে নিতে হবে। কখনো নিজের ইছামতো কিংবা অল্প শিক্ষিত জ্যোতিষীর পরামর্শ মতো রত্ন পাথর ধারন করে নিজের বিপদ ডেকে আনতে যাবেন না। সঠিক রত্ন পাথর ধারন যেমন শুভ ফল দেয় ঠিক তেমনি উল্টো-পাল্টা রত্ন-পাথের ধারণে অশুভ ফল দিতে পারে। ভুল ওষুধ দিলে উপকার তো হবেই না; বরং জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। ঠিক তেমনি যে জাতক/জাতিকার যে রত্ন পাথর প্রয়োজন ,তা নির্ণয় করতে না পারলে ভীষ্ণ ক্ষতি হওয়ার আশংখা থাকবে। প্রকৃত হিসাবনিকাশ এ গবেষণা করে রত্ন পাথর ব্যবহারের পরামর্শ দিলে অবশ্যই উপকার পাওয়া যাবে। পৃথিবীর মধ্যে যতো প্রকার পাথর আছে, তার মধ্যে এই কয়েক প্রকার রত্ন-পাথর সম্পর্কে আলোচনা করতেছি।
পোখরাজঃ (Yellow Sapphire)
পোখরাজ বৃহস্পতি গ্রহের রতন এক ধরনের স্বচ্ছ ও সুন্দর রত্ন। অনেক সময় সৌন্দযের কারণে এ পাথর কে পুষ্পরাগ মণিও বলা হয়। তবে সামান্য হলুদ রঙের পোখরাজ গুন ও অভিজাতের দিক দিয়ে অপেক্ষাকৃত উন্নত। অনেক সময় পোখরাজ রত্নের ভেতরে কাটা দাগ বা চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। স্বর্ণ যাচাইয়ে কষ্টিপাথর আস্তে আস্তে ঘষলে পোখরাজের উজ্জ্বলতা কমে যায়। পোখরাজ ব্যবহারে জাতক/জাতিকার কর্মদক্ষতা, কর্মপটুতা, উৎসাহী কেতৃত্ব, যশ-খ্যাতি, বুদ্ধি ইত্যাদি বাড়ে। বৃহস্পতি গ্রহকে সতেজ রাখে। যারা জীবনের বিভিন্ন পরিকল্পনায় সিদ্ধান্ত হীনতায় ভোগেন, তাদের জন্য পোখরাজ খুবই উপকারী।
Watch & Buy Our Natural Yellow Sapphire Stone Collection
পান্না পাথর (Emerald Stone)
পান্না বুধ গ্রহের রত্ন। রাসায়নিক উপাদান অ্যালুমিনিয়াম-বেরিলিয়াম-সিলপেটের সংমিশ্রণে খণিজ পান্নার উৎপত্তি ও সৃষ্টি। পান্না পাথর ব্যবহারে শত্রুতা হ্রাস পায়। সর্বক্ষেত্রে উন্নতি ও যোগাযোগ বাড়ে। মানসিক অস্থিরতা কমে। কর্মপটুতা, বিচক্ষণতা, ব্যবসাহিক উন্নতি হয়। কোন জাতক/জাতিকার জন্ম চকে বুধ গ্রহ অশুভ থাকলে কিডনি সংক্রান্ত, অর্শ, ভগন্দর রোগের উৎপত্তির হলে পান্না ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
Watch & Buy Our Natural Emerald/ Panna Stone Collection
গোমেদ পাথর (Garnet Stone)
রাহুর অশুভ প্রভাবমুক্ত থাকলে গোমেদ ব্যবহার করা হয়। গোমেদ ব্যবহারে যশ বৃদ্ধি, শ্ত্রুতা মুক্ত, পারিবারিক জীবনে শান্তি আসে। মামলা-মোকাদ্দমা ও ঋণমুক্ত থাকা যায়। কোন জাতক/জাতিকারা জন্ম চকে বাহুর কু-দৃষ্টি থাকলে সে ব্যাক্তি নিম্ন লিখিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। যেমন জয়েন্ট বেদনা, আজে বাজে দুঃখ, যকৃতের রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্ষুদা মন্দা ইত্যাদি ঐ রকম জাতক/জাতিকারা হাতের কজির উপর গোমেদ ব্যবহার করলে প্রচুর উপকার পাওয়া যাবে।
Watch & Buy Our Natural Garnet/ Gomed Stone Collection
প্রবাল পাথর (Red Coral Stone)
স্বাস্থ্যগত কারণে প্রবাল বেশি ব্যবহার করা হয়। প্রবাল দলবদ্ধ হয়ে বাস করা এক ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী। কোটি কোটি এই প্রাণী এক সঙ্গে বাস করে ও মৃত্যুর পর তাদের দেহ জমাট বেঁধে এই প্রবাল পাথরের সৃষ্টি করা হয়। প্রবাল একটি অস্বচ্ছ পাথর । টকটকে লাল রঙের প্রবাল কে বলে রক্ত প্রবাল, কমলা রঙের প্রবালকে বলে পলাশ প্রবাল, সবুজ রঙের প্রবালকে বলে সবুজ প্রবাল, লাল ও সবুজ রঙ এক সাথে মেশালে বলে মেটে প্রবাল, দুধের মতো সাদা ধবধবে প্রবাল কে শ্বেত প্রবাল। যে সমস্ত মেয়েরা জরায়ু সমস্যার ভূগতেছেন শ্বেতপ্রবাল আংটি ও লকেট করে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। যাদের পুরাতন আমাশয় বা পাকস্থলির সমস্যা বা রক্ত দুষিত রোগ আছে তারা রক্ত প্রবাল ব্যবহারে উপকার পাবেন।
Watch & Buy Our Natural Red Coral Stone Collection
ক্যাটস আই পাথর (Cat’s Eye Stone)
কেতু গ্রহের রত্ন। রাসায়নিক উপাদান সিলিকন-মেগনিসিয়াম-বেরিলিয়াম-সংমিশ্রণে খণিতে জন্মে। দুর্ঘটনা ও রহস্যজনক জটিলতামুক্ত থাকতে ক্যাটস আই ব্যবহার করা যেতে পারে। গোপন শত্রুতা থাকলে ক্যাটস আই ব্যবহার করা হয়। গোপন শত্রুতা মুক্ত রাখে। সোনালি ক্যাটস আই চন্দ্র, বৃহস্পতি ও শুক্রের অশুভ প্রভাবমুক্ত রাখে। ক্যাটস আই কোন জাতক/জাতিকার জন্ম রাশিতে কেতু-গ্রহ অশুভ হলে নিম্ন লিখিত রোগ সমূহ দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ক্যাটস আই বা লকেট করে গলায় বা ডান হাতে আঙুলে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
Watch & Buy Our Natural Cats Eye Stone Collection
ইন্দ্রনীলা পাথর (Blue Sapphire Stone)
সব রত্ন-পাথরের মধ্যে নীলা বা সাফায়ার সবচেয়ে মারাত্মক এবং দুষ্প্রাপ্য। দুষ্প্রাপ্য বলে অন্যান্য রত্ন-পাথরের তুলনায় নীলার দামও বেশি। নীলা অনেক ধরনের পাওয়া যায়। এর মধ্যে ইন্দ্রনীলা, গঙ্গাজল নীলা পিতাম্বর নীলা, ষ্টার নীলা ইত্যাদি। সব রকম নীলার মধ্যে ইন্দ্রনীলার প্রতিক্রিয়া বা ক্রিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী। বর্তমানে ইন্দ্রনীলা খুব বেশি না পাওয়ার কারণে এবং দাম বেশি হওয়ায় বেশি পরিমাণে ষ্টার নীলা ব্যবহারের পরার্মশ জ্যোতিষীরা দিয়ে থাকেন। নীলার রাসায়নিক উপদান অ্যালুমিনিয়াম অর্কসাইড এবং স্যাফায়ারের অন্যান্য উপাদানে খনিতে নীলার সৃষ্টি । লাল রঙের সামান্য নীলাভ নীলাকে রক্তমুখী নীলা বলা হয় । হালকা বেগুনি আভাযুক্ত নীলাকে বলা হয় অপরাজিতা নীলা । কাশ্নিরে বেশি পাওয়া যায় বলে অনেক সময় কাশ্নিরি নীলাও বলে অবহিত করা হয়ে থাকে । অপরাজিতা নীলা বেশি পাওয়া যায় না বলে এর দাম একটু বেশি । অপরাজিতা নীলায় সামান্য হলুদ আভা থাকলে তাকে বলা হয় পীতাস্বর নীলা । নীলা পুরোপুরি স্বচ্ছ না হয়ে ঘোলাটে হলে তাকে বলা হয় গঙ্গাজল নীলা । শনির অশুভ প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য জাতক/জাতিকাকে নীলা ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয় । যে কোনো নীলাই অতি মূল্যাবান ।অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ ছাড়া কোনো নীলাই ব্যবহার করা উচিত নয় । কারণ নীলা ব্যবহারে উপকার যতোটুকু, তার থেকে বেশি ক্ষতিকর । নীলা ব্যবহারে দারিদ্র,দুঃখ-কষ্ট হ্রাস পায়, জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আসে, কাজকর্ম বাধা-বিঘ্ন দূর হয় । নীলার উপকারিতা নীলা যে সমস্ত জাতক/জাতিকার জম্ম চকে বা রাশি অশুভ স্থানে আছে তাদের বিভিন্ন রোগের উপসর্গ আসে । যেমন হার্ড ব্যথা,বাত রোগ,পায়ে আঘাত লাগা এবং কষ্টকর যন্ত্রনা জাতীয় রোগের এবং স্নায়ুর শক্তি বস্তুক । তাছাড়া চর্ম রোগ, মাথা ব্যথা, কানে কম শুনা,মাথা ও হাত পায়ের যন্ত্রনা,মৃগী রোগে আংটি করে ডান হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে ধারন করলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায় ।
Watch & Buy Our Natural Blue Sapphire/ IndroNila Stone Collection
চুনি পাথর (Ruby Stone)
চুনি বা রুবি উজ্জ্বল লাল রঙের স্বচ্ছ রত্ন । আরবিতে এ পাথরকে ইয়াকুত পাথ্র বলা হয় । মিয়ানমার,সিংহল,ব্যাংককে প্রচুর চুনি বা রুবি পাথর পাওয়া যায়। চুনি বা রুবি খুবই দামি পাথর বলে বাজারে অনেক নকল পাওয়া যায় । কোনো অবস্থায় সন্দেহযুক্ত চুনি বা রুবি ব্যবহার করা উচিত নয় । রুবির রাসায়নিক উপাদান অ্যালুমিনিয়াম অর্কসাইড-কপার-সালফেট সংমিশ্রণে খনিতে জম্মে । রবি গ্রহ অশুভ হলে চুনি বা রুবি ডান হাতের অনামিকা আঙ্গুলে ধারণ করতে হয় । এটি ব্যবহারে যশ-খ্যাতি বাড়ে, অর্থ ও সুনাম বৃদ্ধি করে,বাড়ে খ্যাতির বিকাশ,উন্নতি,সম্পদ লাভ হয়, কাজ কর্মে সফলতা আসে । চুনির উপকারিতা যে সমস্ত জাতক/জাতিকার জম্ম চকে রবি অশুভ বা দূর্বল অবস্থানে থাকে তারা আংটি করে ডান হাতের অনামিকা আঙ্গুলে ধারন করলে পুরাতন জ্বর, চোখের সমস্যা জনীত রোগেও রুবি ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায় ।
Watch & Buy Our Natural Ruby/ Yaqut Stone Collection
হীরা পাথর (Diamond Stone)
হীরা অতি মূল্যবান রত্ন । হীরা ধারণে মনকে প্রফুল্ল রাখে । দেহের সৌন্দর্য, বীর্য ও বল বৃদ্ধি করে । শুক্রের অশুভ প্রভাবমুক্ত থাকতে হীরা ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয় । হীরা শুক্র গ্রহের রত্ন-একজন জাতক জাতিকার জম্ম ছকে শুক্র গ্রহ অশুভ হলে শিল্প কাব্য,প্রতিভা,স্ত্রীর ভালবাসা ও রতি শক্তি কমে যাওয়ার আশংকা থাকে । কোন কোন ক্ষেত্রে আত্মীয় স্বজনের সাথে বিরোধ ঘটে । শুধু তা নয় শাররিক অসুস্থতা বিশেষ করে চর্ম রোগ, বহু মুত্র, যৌন রোগ, বার বার জ্বর ও দাঁতের রোগ হওয়ার আশংকা থাকে । অশুভ এবং নিচস্থ শুক্রের প্রতিষেধক হিসেবে হীরা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় । তুলা ও বৃষ রাশির জাতক জাতিকারা হীরা ব্যবহারে যথেষ্ট উপকার পাবেন । ১ থেকে দেড় রতি হীরা ব্যবহার করাই উত্তম ।
মুক্তা পাথর (Pearl Stone)
পৃথিবীতে যতো পাথর দেখা যায়, সেগুলার মধ্যে মুক্তা আসলে প্রাকৃতিক কোনো পাথর নয়। পানিতে বসবাসকারী প্রানিজ দেহের রস থেকে এর সৃষ্টি। সমুদ্রের নিচে, নদী বা বদ্ধ পুকুরে যেসব ঝিনুক, সঙ্খ বা শামুক জাতীয় প্রাণী বাস করে, তারা নিজেদের অতি কোমল দেহটিকে শক্ত একটি খোসল বা আবরণের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এই আবরণটিই শামুক, শঙ্খ বা ঝিনুক নামে আমাদের কাছে পরিচিত। কারণ কোমল ছোট দেহটি নিয়ে মূল প্রাণীটি সহজে প্রকাশ্যে ধরা দেয় না। কোনো কারণে এই শক্ত দেহাবরণের ভেতর পাথর, মাটি বা নুড়ি ঢুকে গেলে প্রাণীটির জন্য তার চরম বিরক্তির সৃষ্টি করে ও দেহ থেকে এক রকম রস বের করে তারা অনাহুত সে পাথরটিকে ক্রমেই মসৃণ করে তুলতে থাকে। কালক্রমে পাথরটি তার আসল রূপ ও বর্ণটি হারিয়ে ফেলে এবং প্রানীর দেহ নিসৃত রসগুলো ক্রমেই জমাট বেঁধে পরিণত হয়। মুক্তার সাধারণ রঙ ধবধবে সাদা বা সামান্য হলদে। সিঙ্গাপুর, সিংহল,নেপাল প্রভৃতি দেশে মুক্তা বেশি পাওয়া যায়। বাংলাদেশেও মুক্তা পাওয়া যায়।
Watch & Buy Our Natural Pearl/ Mukta Stone Collection
ফিরোজা পাথর (Turquoise Stone)
ফিরোজা নীল সবুজ বর্ণ থেকে আরম্ভ করে হলুদ বর্ণের ও হতে পারে । বর্ণের দিক থেকে নীল সবুজ রংয়ের ফিরোজা সর্বশেষ্ঠ ।
প্রাপ্তি স্থানঃ ইরান,মিশ্র, মেস্কিকো, আফগানিস্তান, তুরস্ক এবং ইষ্টেলিয়াতেও এ রত্ন পাওয়া যায় । আসল ফিরোজায় রংয়ের পরির্বতন হয় । রাসায়নিক বিশ্লেষণ এলুমিনিয়াম ফসফেট ও কপার সংমিশ্রণে সৃষ্টি ।ইরানের ফিরোজ সবচেয়ে উন্নত ।
Watch & Buy Our Natural Turquoise/ Firoza Stone Collection
উপকারিতাঃ এইটা মুসলিম ধর্মের পবিত্র পাথর । মুসলমানেরাই বেশি ব্যবহার করে থাকেন । তবে ফিরোজা উপরত্ন কার্যক্ষমতা অনেক বেশি এ রত্ন ব্যবহারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ও প্রেমিক/প্রেমিকার মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয় পারিবারিকভাবে সুখী থাকা যায় । আমাদের নবী রসুলগণ যখন ধর্ম যুদ্ধে যেতেন তখন ফিরোজা পাথার সাথে রাখতেন । এই রত্ন দুরঘটনা থেকে মুক্ত রাখতে পারে । মনকে সতেজ রাখে । জীবজন্তু বা হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় যে ব্যক্তি এইটা ধারন করেন ।
সন্ধ্যারাগমনি কি ??
ভাই সন্ধ্যারাগমনি বলতে কোন পাথর নেই। এই শব্দটি শুধুমাত্র কিছু উপন্যাসের বইতে কাল্পনিক চরিত্র বা উপস্থাপন করা হয়েছে। আদতে এর কোন উপস্থিতি নেই বা কোন পাথরের এই নাম নেই।