MOON STONE (চন্দ্রকান্তমনি)কে বাংলায় মুন পাথর বলা হয়, অনেক জ্যোতিষ আবার একটু কঠিন করে “চন্দ্রকান্ত মনি” বলে থাকে। রাশি তত্ত্ব হিসেবে যাদের চন্দ্র গ্রহের খারাপ প্রভাব রয়েছে তাদের মুন পাথর ব্যবহার করতে বলা হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুন পাথর পাওয়া গেলেও ইন্ডিয়ান এবং শ্রীলঙ্কান মুন পাথর বাংলাদেশে বেশী পাওয়া যায়, এছাড়া তানজানিয়া তে বিভিন্ন রঙের মুন পাথর পাওয়া যায়। যাকে আমরা কালার মুন বলে থাকি। সারা পৃথিবীর মধ্যে শ্রীলংকান বা সিলোনি মুনস্টোন পাথর বিখ্যাত।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে মুনস্টোন পাথরের উপকারিতা বা গুনাগুণ (Benefits of Wearing Moonstone Ring):
-
আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখাতে এবং চিন্তা শক্তি বাড়াতে মুন পাথর উপকারী।
-
যাদের প্রচণ্ড রাগ, যারা অল্পতে খুব বেশী রেগে যান তাদের রাগ প্রশমিত হতে পারে মুন পাথর ব্যবহারের ফলে।
-
চৌকশতা বাড়াতে মুন পাথর ব্যবহার করা যেতে পারে।
-
জ্যোতিষ শাস্ত্রে যেদিন থেকে মনে করা হয় চাঁদ মানুষের মন কে নিয়ন্ত্রণ করে ঠিক সে দিন থেকে মুন পাথরকে ব্যবহার করা হয় মানুষের মনের শান্তির জন্য।
-
ধ্যান, স্থিরতা জন্য এ পাথর খুব খুব উপকারী।
-
যদি কেও তার দুচোখের উপর মুন পাথর ছোঁয়ায় তাহলে সাথে সাথে তিনি একটি শীতল অনুভূতি পাবেন।
-
মানুষিক স্থিরতা বঝায় রাখার জন্য এ পাথর বেশ উপকারী।
-
মেয়েদের শারীরিক হরমনের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে মুন পাথর, বিশেষ করে ঋতুচক্র ও সন্তান প্রসবের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
-
ছেলেদের অতিরিক্ত রাগ কমাতে সাহায্য করে থাকে মুন পাথর।
-
যে মানুষ গুলো দুশ্চিন্তা গ্রস্থ, আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগে থাকেন তাদের জন্য উপকারী রত্ন পাথর মুন।
-
মুন পাথর নাক দিয়ে রক্ত পরা, বদ হজম ও সান স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
-
অনেকে আবার মুন পাথরকে ভালোবাসার পাথর বলে থাকেন। প্রকৃত ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে পেতে নাকি মুন পাথর সাহায্য করে থাকে।
-
সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মুন পাথর সাহায্য করতে পারে।
-
অনিদ্রা জনিত সমস্যায় মুন পাথর খুব উপকারী।