মুক্তা (Pearl)
উপাদান (Chemical Composition) : মুক্তার ৯২ ভাগই ক্যালসিয়াম, ২ ভাগ জল এবং ৬ ভাগ অজৈব খনিজ পদার্থ
আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific Gravity): ২.২৬ – ২.৭৮
কাঠিন্যতা (Hardness): ৩ – ৪
প্রতিসরণাংক (Refractive Index) : ১.৫২ – ১.৬৬ (কালো মুক্তা গুলো ১.৫৩-১.৬৯)
বিচ্ছুরণ (Dispersion) : None (নাই)
প্রাপ্তিস্হান : বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, ভারত, চীন, জাপান, আমেরিকা, সিংহলদ্বীপ, পারস্য উপসাগর, বার্মা প্রভৃতি স্থানে মুক্তা পাওয়া যায়।
উপকারিতা : রাশিচক্রে কর্কট রাশি ও চন্দ্র গ্রহের রত্ন। এই রত্ন সততা, বিশ্বাস, আনন্দের ধারক। সৌন্দর্য, দেহ ও মনের শান্তি রক্ষার্থে শুভ ফলদায়ক। আয়ুর্বেদ মতে মুক্তা ভস্ম মহা উপকারী ঔষধ।
জ্যোতিষ মতে চন্দ্র হল মনকারক গ্রহ। মানব মনে তার প্রভাবের ফলে মানুষের মনও হয়ে উঠে দ্রুতগামী।
তাই বলা হয়ে থাকে যারা অকাররণ দুশ্চিন্তা করেন অথবা আকাশ কুসুম রচনা করা যাদের নেশা, তাঁরা মুক্তা ধারণ করে সুফল পেতে পারেন। যক্ষ্ণারোগেও মুক্তা যথেষ্ট উপকারী। হদরোগ, বৃদ্ধদের শক্তিহীনতা, ক্রোধ প্রবণতা দূর করার জন্য দুধের সাথে মুক্তার গুড়ো মহৌষধ হিসেবে গণ্য।
মুক্তা পাথর ধারনে আকর্ষণী করে তলে এবং আধ্যাত্মিকতার উন্নয়ন ঘটায়।
দায়িত্ব ও কর্তব পালনে উৎসাহিত করে তোলে।
একজনের ব্যবহার করা মুক্তা অন্য কেও ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কারন পূর্বে ব্যবহার কৃত ব্যক্তির শরীরের ক্ষতিকর বিষয় গুলো নতুন ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করাতে উদ্বুদ্ধ করে থাকে।
মুক্তা পাথর গর্ভপাত থেকে রক্ষা করে।
যৌন রোগে মুক্তা উপকারী।
মুক্তা পাথর নাম হলেও প্রকৃত পক্ষে মুক্তা মাটির নিচ থেকে পাওয়া কোন খনিজ পাথর নয়। মুক্তা পাওয়া যায় নদীতে, সমুদ্রে থাকা ঝিনুকের ভেতর থেকে। এক সময় মুক্তা পাওয়া যেত প্রাকৃতিক ভাবে। বর্তমানে মুক্তা চাষ করা হয়ে থাকে। তারপরেও এখনো প্রাকৃতিক নিয়মে নদী ও সমুদ্রর ঝিনুক থেকে মুক্তা পাওয়া যায়। তাই চাষের মুক্তার থেকে অনেক অনেক বেশী মূল্যবান প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া মুক্তা। আর বিশেষ করে সমুদ্র থেকে যে মুক্তা পাওয়া যায় এর উপকার বেশী হয়ে থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে মুক্তা পাথরের উপকারিতা তুলে ধরা হচ্ছেঃ
- মুক্তা পাথর ব্যবহারে ব্যবহারকারীর মন শান্ত হওয়া, চোখের দৃষ্টি প্রখর হওয়া, ভালোবাসা বৃদ্ধি পাওয়া, পারিবারিক জীবনে শান্তির বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন উপকার পেতে পারেন।
- কোন ব্যক্তি যখন দুশ্চিন্তা গ্রস্থ থাকে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে তখন মুক্তা পাথর ব্যবহার উপকার বয়ে আনতে পারে।
- বিশেষ করে যে সকল মানুষের মাথা খুব গরম থাকে, হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে যায় তাদের জন্য মুক্তা পাথর ব্যবহার খুব উপকারী।
- চন্দ্র গ্রহের সকল খারাপ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে মুক্তা পাথর সাহায্য করতে পারে।
- ঘুমের মাঝে অশান্তি, অনিদ্রা থেকে মুক্ত পেতে মুক্তা পাথর সাহায্য করতে পারে।
- গলার সমস্যা, চোখের সমস্যা এবং ডাইরিয়া জনিত সমস্যায় মুক্তা পাথর চন্দ্রের খারাপ প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করতে পারে।
- মুক্তা পাথর ব্যবহারে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে মেয়েদের ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করে।
- শারীরিক যে কোন প্রকার অসুস্থতায় মুক্তা পাথর ব্যবহার উপকারী।
- বিশ্বাস করা হয় যে মুক্তা পাথর ব্যবহারে সম্মান, শ্রদ্ধা এবং সম্পদ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
- স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি এবং ব্রেইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মুক্তা পাথর।
- এও বিশ্বাস করা হয় যে মুক্তা পাথর ব্যবহারে সৌভাগ্য সূচীত হয়।
- স্বামী স্ত্রীর মাঝে পারস্পরিক আস্থা, মমতা, দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা বৃদ্ধিতে মুক্তা পাথর সাহায্য করে থাকে।