Benefits Of Yellow Sapphire Stone | পোখরাজ (Pokhraj) পাথরের উপকারিতা

পোখরাজ (Yellow Sapphire) বৃহস্পতি গ্রহের রতন এক ধরনের স্বচ্ছ ও সুন্দর রত্ন। অনেক সময় সৌন্দযের কারণে এ পাথর কে পুষ্পরাগ মণিও বলা হয়। তবে সামান্য হলুদ রঙের পোখরাজ গুন ও অভিজাতের দিক দিয়ে অপেক্ষাকৃত উন্নত। অনেক সময় পোখরাজ রত্নের ভেতরে কাটা দাগ বা চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। স্বর্ণ যাচাইয়ে কষ্টিপাথর আস্তে আস্তে ঘষলে পোখরাজের উজ্জ্বলতা কমে যায়। পোখরাজ ব্যবহারে জাতক/জাতিকার কর্মদক্ষতা, কর্মপটুতা, উৎসাহী কেতৃত্ব, যশ-খ্যাতি, বুদ্ধি ইত্যাদি বাড়ে। বৃহস্পতি গ্রহকে সতেজ রাখে। যারা জীবনের বিভিন্ন পরিকল্পনায় সিদ্ধান্ত হীনতায় ভোগেন, তাদের জন্য পোখরাজ খুবই উপকারী।
উপাদান (Chemical Composition): Aluminium Oxide (Al2O3)
কাঠিন্যতা (Hardness):
গোত্র (Species): Corundum
আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific Gravity): ৩.৯৬ – ৪.০৫
প্রতিসরণাংক (Refractive Index): ১.৭৫৭ – ১.৭৭৯
বিচ্ছুরণ (Dispersion): ০.১১৪
আমাদের সংগ্রহে থাকা ক্যাটস আই দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন – Natural Yellow Sapphire (পোখরাজ পাথর)

পোখরাজ পাথরের উপকারিতা বা গুনাগুণ (Benefits of Yellow Sapphire Stone):

পোখরাজ পাথর সাধারণত সোনালি হলুদ রঙের হয়ে থাকে। এটি বৃহস্পতি গ্রহের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পরামর্শদাতা, আশাবাদী ও আদর্শবাদী করে তোলে। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় যে কোন প্রকার বিষের উপস্থিতিতে পোখরাজ পাথরের রঙ বদলে যায়। “Tradition of Ahl al Bait” থেকে পাওয়া যায়, যে ব্যাক্তি পোখরাজ পাথর ব্যবহার করবে সে কখনই দরিদ্র হবেনা কারন এটি সম্পদের সাথে সম্পর্কিত।
  • পোখরাজ পাথর ধারণে অন্যকে উজ্জীবিত করার শক্তি বেড়ে যায় এবং নিজের আত্মপ্রকাশের শক্তি বেড়ে যায়।
  • এই পাথর শরীরকে গরম রাখে।
  • চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে কুষ্ঠ রোগে পোখরাজ পাথর উপকারী।
  • গর্ভ কালীন অবস্থায়, প্রসব বেদনায় জিহ্বার নিচে পোখরাজ পাথর রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
  • রক্তের রোগে উপকারী, বিশেষ করে রক্তের ক্যান্সারে উপকারী।
  • সকল পরকার কোষ্ঠ কাঠিন্য ও পাইলসে পোখরাজ উপকারী।
  • এটা শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং বুদ্ধি-বিচক্ষণতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • কিডনিতে হওয়া পাথরকে প্রসাবের সাথে বের হয়ে জেতে পোখরাজ পাথর সাহায্য করে থাকে
রাশি রত্ন পাথর পোখরাজ পাথর (Yellow Sapphire Stone) বৃহস্পতি গ্রহের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে উপকারী। বিশেষ করে যাদের জন্ম তারিখ অনুযায়ী মীন রাশি (Pisces) Feb 21- March 20 এবং ধনু রাশি (Sagittarius) Nov 21- Dec 20 তাদের বার্থস্টোন হচ্ছে পোখরাজ পাথর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পোখরাজ পাথর পাওয়া গেলেও শ্রীলঙ্কার পোখরাজ পাথর পৃথিবী বিখ্যাত।
বৃহস্পতি গ্রহ সম্পদ, ক্ষমাশীলতা, ভদ্র ব্যবহার, উদারতা, জনপ্রিয়তার প্রতীক। সাধারণত যাদের হাতে বৃহস্পতি গ্রহের প্রভাব ভালো তারা নেতৃত্ব খুব পছন্দ করে এবং অন্য সকলের কাছে খুব বেশী জনপ্রিয় হয়ে থাকে। তাদের স্বভাব, উদারতা সব সময়ই অন্যদের তুষ্ট করে। এছাড়া জ্যোতিষশাস্ত্র মতে পোখরাজ পাথর ব্যবহারে যে সকল উপকার (Benefits of Yellow Sapphire Stone) পাওয়া যেতে পারে তার কিছু মাত্র তুলে ধরা হলঃ
পোখরাজ পাথরের প্রভাব প্রথম কাজ করে সম্পদ বৃদ্ধিতে। পোখরাজ পাথর ব্যবহারে আয়ের পথের বিস্তার ঘটে এবং ব্যবসায় প্রসার হয়। ফলে নতুন নতুন সুযোগের সাথে সাথে উন্নতি আসতে থাকে।
পোখরাজ পাথর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করে। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় প্রখর করে তোলে পোখরাজ পাথর ফলে মনের উপর কম প্রভাব ফেলেই কঠিন পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে পোখরাজ পাথর ব্যবহারে (benefits of Pokhraz Stone) ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কোঠর পরিশ্রমের সাথে সৌভাগ্য জুড়ে গেলে সফলতা কেও আটকাতে পারেনা।
পোখরাজ পাথর সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিবাহিত জীবন শান্তির করে তোলে।
যে সকল বিবাহ যোগ্য ছেলে মেয়েদের বিবাহ হতে বিলম্ব হচ্ছে অথবা অনেক চেষ্টা করেও বিবাহ হয়ে উঠছে না, আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় তাদের জন্য খুব খুব উপকার বয়ে আনতে পারে পোখরাজ পাথর ব্যবহার।
বিবাহিত জীবনে যাদের এক অপরের সাথে আস্থা ভালোবাসার অভাব থাকে, যাদের বিবাহিত জীবনে সুখ অনুপস্থিত তাদের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে পোখরাজ পাথর ব্যবহার।
ব্যবসায় এবং চাকুরী জীবনে যাদের প্রতিযোগিতার ফলে গোপন শত্রুর জন্ম নেয় তাদের জন্য পোখরাজ পাথর উপকারী।
পোখরাজ পাথর ব্যবহারে ব্যবহারকারীর আত্মতৃপ্তি ও মনের শান্তি বৃদ্ধি পায়। কথিত আছে এ পাথর ব্যবহার করলে সুখ বৃদ্ধি পায়।
শয়তান এবং যে কোন খারাপ কিছু থেকে মুক্ত থাকতে পোখরাজ পাথর সাহায্য করে। দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে এবং অতিত থেকে বয়ে বেড়ান দুঃখবোধ কমায়।
মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, পোখরাজ ব্যবহারকারী শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও চৌকশ হয়ে ওঠে।
পোখরাজ ব্যবহারে রাগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয় এবং ব্যবহারকারী আগের থেকে অনেক বেশী মিশুক হতে পারে।
পোখরাজ পাথর ব্যবহারে লিভারের সমস্যা, স্মৃত কমে যাওয়া, অনিদ্রা, এজমা, আরথাইটিজ, এবং কিডনির পাথরের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়
আপনি যখন রত্নপাথর পোখরাজ পাথর (Yellow Sapphire Stone / Ratno Pathor Pokhraz Stone) সহ অন্য কোন প্রকারের রত্ন পাথর কেনার চিন্তা করবেন তখন মনে রাখা ভালো যে পাথরের কোন নির্দিষ্ট কোয়ালিটির হিসেব নেই। খনি থেকে পাওয়া বর্তমান মজুদ পাথরের মধ্যে থেকেই ভালো খারাপ কোয়ালিটির হিসেব করা হয়। তাই রত্ন পাথরের ক্ষেত্রে কেওই ঘোষণা দিতে পারবেনা এটাই সব থেকে ভালো বা খারাপ পাথর। তারপরেও সাধারনত আপনি১ ৮০০ টাকা থেকে সর্বচ্চ ১৫০০০ টাকা মূল্যে প্রতি ক্যারেট পোখরাজ পাথর পাবেন আমাদের কাছে। আকিক পাথর ছাড়া বাকি সব পাথর ক্যারেট হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে।
পোখরাজ পাথরকে পুস্পরাগণিও বলা হয়। এর রাসায়নিক সংকেত Al2(SiO4)F4OH)2 নীলা ও পোখরাজ উভয়ই স্যাফায়ার জাতের রত্ন । কিন্তু রাসায়নিক গঠনে তাদের মধ্যে তফাৎ আছে । পোখরাজ পাথরকে ইংরেজীতে Yellow Sapphire বলা হয় । হলুদ আভাযুক্ত, উজ্জ্বল এক ধরণের রত্নকে ‘টোপাজ’ বলে। এটি দেখতে যদিও পোখরাজের মতো, আসলে তা নয় । পোখরাজের তুলনায় এর আপেক্ষিক গুরুত্ব কম এবং ওজন হাল্কা । কিন্তূ প্রকৃত পোখরাজ বেশী ভারী । অনেক ভেজাল বা নকল পোখরাজ বাজারে চালু আছে । অসাধু ব্যবসায়ীরা পাথরের উপর রঙ করে সেগুলিকে আসল রত্ন পাথর বলে চালিয়ে দেয় । এমন অসংখ্য ভেজাল পোখরাজ হচ্ছে – দস্তার খনি থেকে পাওয়া ব্লেন্ডী টাইটানিয়াম ও সিলিকন দিয়ে তৈরী টিটানাইট স্ফেনী, ভ্যানবুরাইট, স্কেপোলাইট, টার্মালিন, কেমিটেরাইট ইত্যাদি।একশ বছর আগেও যে কোন উজ্জ্বল হলুদ পাথরকেই ধরা হতো পোখরাজ বা yellow Sapphire বলে। কিন্তু আসল পোখরাজ হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের জটিল ফ্লুয়োসিলিকেট । একমাত্র এই পাথরেই দুর্লভ ফ্লোরিন গ্যাসের অণু আটকে আছে । পোখরাজের একটা গুণ হচ্ছে যে এটার ওপর হাত বোলালেই একটা পিচ্ছিল অনুভূতি আসে, যা অন্য পাথরে হাজার পালিশ করলেও আসে না । তাছাড়া, এর ভেতরে কিছু বৈদ্যুতিক গুণও বেশী পরিমাণে আছে। যেমন, পোখরাজ একটু ঘষলেই ছোট কাগজের টুকরো আকর্ষণ করে । তাছাড়া একে গরম করে আস্তে আস্তে ঠান্ডা করলে এর ভিতর দিয়ে বৈদ্যুতিক প্রবাহ উৎপন্ন হয় ।পোখরাজ পাথরের চারিত্রিক বৈশিষ্ট মসৃণ, উজ্জ্বলতা, শীতল স্পর্শী । বর্ণের দিক থেকে হলুদাভ, গোলাপী পোখরাজ কষ্টি পাথরে ঘষলে উজ্জ্বলতা কমে না ।
প্রাপ্তিস্থান : এই রত্ন- পাথরটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। যেমন-ইয়ামেন পর্বত, ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, স্কটল্যান্ড, আয়ারর্ল্যান্ড, শ্রীলংকা, জাপান, দক্ষিন আফ্রিকা, বার্মা (মায়ানমার), সাইবেরিয়া প্রভৃতি স্থানে পাওয়া যায়।উপকারিতা : জ্যোতিষশাস্ত্রে ও হস্তরেখা বিজ্ঞানে পোখরাজ বৃহস্পতি গ্রহের রত্ন ।বৃহস্পতি গ্রহের বিভিন্ন প্রকার অশুভত্ব দূরীকরণার্থে ধারণ করা হয় । এ রত্ন হাঁপানী রোগ, কফ, রক্তদোষ, অনিদ্রা, সম্মান, ন্যায়পরায়ণতা, খ্যাতি-উন্নতিতে ফলদায়ক । এটি ব্যবহারে কাজে দক্ষতা বাড়ে এবং সাহসের যোগান দেয় । আয়ূর্বেদ মতে অম্লরস, বায়ুদোষ, পান্ডু বা জন্ডিস রোগে পোখরাজ অত্যন্ত ফলপ্রদ। গ্রীকদের কাছে পোখরাজ রত্ন শক্তির উৎস। পোখরাজ রত্নের ব্যবহার ছিল ব্যাপকভাবে । তাঁরা এই রত্ন-পাথরের সোনালী আভাকে তাঁদের ঈশ্বরের প্রতীক মনে করতেন ।সঠিক রাসায়নিক বিশ্লেষণ, শুভ তিথীযুক্ত দিন ব্যতীত এবং বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে শোধন না করে যে কোন রত্ন পাথর ধারণ করা অনুচিত। এতে করে শুভ ফল পাবেন না । শোধন প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ সাধারণ নিয়মে দুধ, মধু, গোলাপজল, জাফরান , আতর, জম জম কূপের জল, নদীর জল কিংবা গঙ্গা জলইত্যাদি দ্রব্য / গ্ৰহ অনযায়ী ফুল ,ফল,মালা যন্ত্রম ও মৃগনাভী দ্ধারা শোধন করা হয়।কখনও ইশ্বেরর চরনে ঠেকিয়েকরা হয় না বা করার বিধান শাস্ত্রে নেই ।

Leave a Reply