হীরাকে আরবীতে অলম্পাস বলা হয়। বর্তমান পৃথিবীতে হীরা সবচেয়ে দুস্প্রাপ্য ও মূল্যবান। হীরা “আলো-ঝলমলে” ধাতু। হীরার বহুতলে আলো বার-বার একে বেকে যায় বলেই তৈরী হয় বহু রঙা আলোর ফোয়ারা। রত্ন বিজ্ঞানীরা হীরাকে তার ভেতরের উজ্জ্বলতা অনুযায়ী বর্ণের দিক থেকে চার ভাগে ভাগ করেছিলেন । (১) সাদা রঙ্গের হীরা। (২) লাল রঙ্গের হীরা। (৩) হলুদ রঙ্গের হীরা এবং (৪) কালো .
Gemstone Turquoise এর বাংলা হচ্ছে ফিরোজা, যদিও একে সবাই রাশি রত্ন ফিরোজা পাথর (Rashi Rotno Firoza Pathor) নামেই বেশী চিনে থাকে। পৃথিবীর ইতিহাসে ফিরোজা পাথরের উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ বছরের আগে থেকে। এবং জুয়েলারি শিল্পে এর ব্যবহার নানাবিধ। উৎকৃষ্ট মানের ফিরোজা পাথরের রঙ হচ্ছে আকাশি নীল। প্রাপ্তিস্থান : ইরানের নিশাপুরি অঞ্চলের ফিরোজা পাথর পৃথিবী বিখ্যাত। যেখান থেকে “শাজারি .
পদ্মনীলা (Amethyst) অ্যামেথিষ্ট একটি উপরত্ন। এটি হালকা ও গাঢ় বেগুনী হয়। ইন্দ্রনীলার বিকল্প রত্ন হিসাবে ব্যবহার হয়। জন্ম রাশি ও হস্তরেখা বিচার শনির অশুভত্ব দূরীকরণার্থে ধারণ করা হয়। বর্ণ: হালকা বেগুনী থেকে গাঢ় রক্তবর্ণ। বেগুনী হচ্ছে আধ্যাত্মিকতার রঙ। বিমূর্ত নিরাময় গুণাবলী : অ্যামেথিষ্ট মনের পাথর। বিরক্তিবোধ ও সংশয়ের ক্ষেত্রে প্রশান্তি ও স্পষ্টতা আনয়নে সহায়তা করে। আপনি যদি আপনার অন্তর্জ্ঞান, .
মুক্তা (Pearl) উপাদান (Chemical Composition) : মুক্তার ৯২ ভাগই ক্যালসিয়াম, ২ ভাগ জল এবং ৬ ভাগ অজৈব খনিজ পদার্থ আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific Gravity): ২.২৬ – ২.৭৮ কাঠিন্যতা (Hardness): ৩ – ৪ প্রতিসরণাংক (Refractive Index) : ১.৫২ – ১.৬৬ (কালো মুক্তা গুলো ১.৫৩-১.৬৯) বিচ্ছুরণ (Dispersion) : None (নাই) প্রাপ্তিস্হান : বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, ভারত, চীন, জাপান, আমেরিকা, সিংহলদ্বীপ, পারস্য উপসাগর, .
পোখরাজ (Yellow Sapphire) বৃহস্পতি গ্রহের রতন এক ধরনের স্বচ্ছ ও সুন্দর রত্ন। অনেক সময় সৌন্দযের কারণে এ পাথর কে পুষ্পরাগ মণিও বলা হয়। তবে সামান্য হলুদ রঙের পোখরাজ গুন ও অভিজাতের দিক দিয়ে অপেক্ষাকৃত উন্নত। অনেক সময় পোখরাজ রত্নের ভেতরে কাটা দাগ বা চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। স্বর্ণ যাচাইয়ে কষ্টিপাথর আস্তে আস্তে ঘষলে পোখরাজের উজ্জ্বলতা কমে যায়। পোখরাজ ব্যবহারে .
ক্যাট’স-আই (Cat’s Eye) উপাদান (Chemical Composition): সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম, বেরিলিয়াম সংমিশ্রণে সৃষ্ট। উপকারিতা: জ্যোতিষশাস্ত্রে এই পাথরটি অশুভ কেতু গ্রহের প্রতিকারের রত্ন। ইহা ব্যবহারে রহস্যপূর্ণ জটিলতা, গোপন শত্রুতা, কোন প্রকার দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কথিত আছে এই পাথরটি সঙ্গে থাকলে সর্প দংশন করে না। ভারতে একে অশুভ নাশকারী রত্ন হিসেবে গণ্য করা হয়। উচ্চস্থান থেকে পতিত হবার থেকে রক্ষা করে। .
ওপালের (Opal) বাংলা নাম ময়ূরপঙ্খী উপাদান (Chemical Composition): হাইড্রাস সিলিকন ডাই-অক্সাইড। কাঠিন্যতা (Hardness): ৫.৫ – ৬.৫ আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific Gravity): ১.৯৮-২.২৫ প্রতিসরণাংক Refractive Index): ১.৪৪ -১.৪৬ বিচ্ছুরণ (Dispersion): (None) নাই প্রাপ্তিস্থান: মেক্সিকো, ব্রাজিল, জাপান, লিবিয়া, বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়া হচ্ছে মূল্যবান ওপ্যালের প্রধান উৎস। অষ্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলস আর কুইসল্যান্ডের ওপ্যাল খনি পর্যটকদের কাছে এক চিত্রাকর্ষক স্থান। হন্ডুরাস ও মেক্সিকো অন্য দুটি .
Natural Coral Gemstone : প্রবাল রত্নপাথর প্রবাল একটি অস্বচ্ছ রত্ন । ফার্সী ও আরবীতে মারজান বলে। ভারত ও নেপাল এই রত্নকে মুঙ্গা বা পলা বলে । রত্নটি শুকনো ও শীতল। প্রবাল লাল, গোলাপী বা গৈরিক, সাদা ও কালচে বর্ণের দেখা যায় । বর্ণের মধ্যে জ্যোতিষ শাস্ত্রমতে রক্ত প্রবাল দ্রুত ফলদায়ক। কষ্টি পাথরের ঘর্ষণে খাটি প্রবাল নিজ বর্ণ হারায় না .
সব রত্ন-পাথরের মধ্যে ইন্দ্রনীলা (Blue Sapphire) সবচেয়ে মারাত্মক এবং দুষ্প্রাপ্য। দুষ্প্রাপ্য বলে অন্যান্য রত্ন-পাথরের তুলনায় নীলার দামও বেশি। নীলা অনেক ধরনের পাওয়া যায়। এর মধ্যে ইন্দ্রনীলা, গঙ্গাজল নীলা পিতাম্বর নীলা, ষ্টার নীলা ইত্যাদি। সব রকম নীলার মধ্যে ইন্দ্রনীলার প্রতিক্রিয়া বা ক্রিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী। বর্তমানে ইন্দ্রনীলা খুব বেশি না পাওয়ার কারণে এবং দাম বেশি হওয়ায় বেশি পরিমাণে ষ্টার নীলা ব্যবহারের .
গোমেদ পাথর, ইংরেজিতে যাকে “Garnet Stone” বলা হয়। গোমেদ মধু রঙের খনিজ পাথর। বৈজ্ঞানিক ভাষায় এটি ক্যালসিয়াম এলোমিনিয়াম সিলিকেট এর জমাট বাধা টুকরা ছাড়া আর কিছুই না। বিশ্বাস করা হয় যে গোমেদ পাথর “রাহু” নামক গ্রহের জন্য জন্য উপকারী। যাদের জন্ম জানুয়ারি মাসে বিশেষ করে তাদের জন্য বার্থ স্টোন হচ্ছে গোমেদ পাথর। এছাড়া যাদের মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর থেকে .