কোহিনুর হীরা নিয়ে কেনো এতো বিতর্ক!

ব্রিটেনের ৪০তম রাজা হিসেবে তৃতীয় চার্লসের অভিষেক হচ্ছে আজ ৬ই মে, শনিবার। কয়েক মাস আগেই বাকিংহাম প্রাসাদ জানিয়ে দেয় যে রাজা চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় কোহিনুর হীরা ব্যবহার করা হবে না।

কোহিনুর – এই হীরার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন রাজবংশের উত্তরাধিকারের সম্পর্ক, জড়িয়ে আছে মৃত্যু ও ধ্বংসের ইতিহাস, জড়িয়ে আছে সৌন্দর্য। এই রত্নটি যে কেবল প্রজন্মের পর প্রজন্ম টিকে আছে তাই নয়। এটা চুরি হয়েছে, এটা নিয়ে লড়াই হয়েছে। অনেক বিশ্লেষকের মতে মৃত্যু এবং বঞ্চনার ইতিহাসের কারণে এই হীরাকে ‘অভিশপ্ত’ বলেন অনেকে।

একশো পাঁচ ক্যারেটের ডিম্বাকৃতির এই কোহিনুর পৃথিবীর সবচেয়ে বিতর্কিত ও আলোচিত হীরা।

এই মূল্যবান হীরাটি অনেকবার হাত বদল হয়েছে। ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এই হীরাটা চলে যায় ব্রিটিশদের দখলে। এটি মুঘল শাহজাদা, ইরানী যোদ্ধা, আফগান শাসক এবং পাঞ্জাবি মহারাজাদের হাত ঘুরে স্থান পেয়েছে টাওয়ার অব লন্ডনে।

ক্রাউন জুয়েলসে থাকা ২৮০০টি মূল্যবান রত্নগুলোর মধ্যে একটি হলো কোহিনুর।

কিন্তু এটা সবসময় এই জায়গায় ছিল না।

কালের বিবর্তনে কোহিনুর নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক গল্প। অনেক ইতিহাসের সঙ্গে অনেক পুরাণ কথার সাক্ষীও জড়িত এই হীরার সঙ্গে।

হীরাটি ছিল রানী ভিক্টোরিয়ার বিশেষ সম্পত্তি, তিনি মূলত একটি ব্রোচ হিসেবে পরতেন এটি।

এবং শেষ পর্যন্ত এটি ক্রাউন জুয়েলসের অংশ হয়ে ওঠে।

এটি সর্বপ্রথম জনসমক্ষে দেখা যায় ২০০২ সালে, কুইন মাদারের মৃত্যুর পর তার কফিনের ওপরে।

বহু ভারতীয় বিশ্বাস করেন এই হীরা ব্রিটিশরা তাদের দেশ থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে।

২০২২ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরেই টুইটারে কোহিনুর শব্দটি ট্রেন্ড করা শুরু করে।

বহু ভারতীয় হীরাটি ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

উইলিয়াম ডালরিম্পল ও অনীতা আনন্দ তাদের রচিত “কোহিনুর: দ্য স্টোরি অব্য দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ইনফেমাস ডায়মন্ড” নামের বইটিতে এই হীরা নিয়ে যেসব মিথ প্রচলিত আছে সেগুলো নিয়ে লিখেছেন।

Leave a Reply